Home » , , , , » অবরোধের শেষ দিনে নিহত ৭- অগ্নিগর্ভ লক্ষ্মীপুর

অবরোধের শেষ দিনে নিহত ৭- অগ্নিগর্ভ লক্ষ্মীপুর

Written By Unknown on Friday, December 13, 2013 | 3:36 AM

ব্যাপক সংঘর্ষ ও রক্তপাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিরোধী জোটের ডাকা দেশব্যাপী টানা ১৪৪ ঘণ্টার অবরোধ। শেষ দিনেও অবরোধকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে সারা দেশে নিহত হয়েছে অন্তত ৭ জন।
লক্ষ্মীপুর শহরের তেমুহনীতে সকালে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবউদ্দিন সাবুর বাসভবনে র‌্যাব অভিযান চালালে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় র‌্যাবের গুলিতে নিহত হয় ১৮দলের ৪ নেতাকর্মী। নিহতরা হলেন- বিএনপি নেতা মাহবুব হোসেন, যুবদল নেতা ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, সুমন ও শিবির কর্মী শিহাব হোসেন। গুলিবিদ্ধ ও আহত হন অন্তত ৫০ জন। এ ঘটনায় শহরের ইসলাম মার্কেট এলাকায় র‌্যাব সন্দেহে জনতার গণপিটুনিতে নিহত হন আরও একজন। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও জেলার পুলিশ লাইন ঘেরাও করে রাখে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকাল তিনটার দিকে পুলিশ লাইনে একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে এবং এক ঘণ্টা অবস্থানের পর চলে যায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ওই হেলিকপ্টার থেকে চারটি প্যাকেট নামানো হয়েছে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরে আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দলের। নিন্দা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রেস নোট দিয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে সরকার। ওদিকে ফেনীর মহিপালে পিকেটারের ইটের আঘাতে ট্রাকচালক মাহবুবুল আলম চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত হন শিবির কর্মী আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, রেল লাইন উৎপাটনের ঘটনা ঘটেছে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাস্থ বাসভবনে ককটেল হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। যশোরে সিঙ্গিয়া স্টেশনের কাছে রেললাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় অবরোধকারীরা। ফলে সারা দেশের সঙ্গে খুলনা-যশোর ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এছাড়া রাস্তার পাশের শতাধিক গাছ কেটে ফেলে যশোর মহাড়ক অবরোধ করে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। রাজশাহীতে ডাচবাংলা ও মার্কেন্টাইল কো-অপরারেটিভ ব্যাংক এবং চেম্বার ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা। সিলেটের অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবউদ্দিন সাবুর শহরের উত্তর তেমুহনীর বাসভবনে সকালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় সাবুর বাসভবনের সামনে তাদের ব্যবহৃত তিনটি গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এক পর্যায়ে র‌্যাব ও ১৮ দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৫০ জন আহত হন। ইসলাম মার্কেট এলাকায় র‌্যাব সন্দেহ গণপিটুনিতে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ১৮ দলীয় জোট। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাবুর ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, সকাল ৬টায় র‌্যাবের সঙ্গে সাদা মাইক্রোবাসে করে আসা সন্ত্রাসীরা বাসভবনে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে সাহাব উদ্দিন সাবু, আজিজুল করিম বাচ্ছু ও তাদের দুই কেয়ারটেকার গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চারজনকে মারধর করতে করতে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যাওয়ার সময় তারা সাবুর তিনটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এদিকে খবর পেয়ে জেলা যুবদল সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল মাহমুদ জুয়েলের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন যুবদলকর্মী সাবুর বাসার দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মিছিলটি শহরের চকবাজার এলাকায় পৌঁছলে র‌্যাব গুলি চালায়। এতে যুবদল নেতা জুয়েল ও নেছার গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবদল নেতা জুয়েলের গুলিবিদ্ধ দেহ র‌্যাবের গাড়িতে তুলে নেয়া হয়। এরপর র‌্যাব সদস্যরা লক্ষ্মীপুর থেকে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে অবরোধ সৃষ্টি করে ১৮দল নেতাকর্মীরা। ফলে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পুলিশ লাইন পর্যন্ত দিনভর থেমে থেমে ১৮ দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও র‌্যাবের দিনভর দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের জের ধরে শহরের আলীয়া মাদ্রাসা, ঝুমুর সিনেমা, এলজিইডি অফিস, ইসলাম মার্কেট ও পুলিশ লাইন এলাকাসহ লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছ ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা। এসময় জোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে লক্ষ্মীপুর বন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে  র‌্যাবের সহযোগী সন্দেহে অজ্ঞাতনামা এক যুবককে গণপিটুনি দেয়। পরে সে মারা যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা বন বিভাগ ভাঙচুর করে। সংঘর্ষে আহত এনএসআই সদস্য আনোয়ার হোসেন, মানিক হোসেন, শিমুল, রাকিব হোসেন, কামাল হোসেন, ওসমান গনি, টিপু সুলতান ও তারেক হোসেন, বেলাল হোসেন, মাহবুব হোসেন, শিহাব হোসেনসহ ২৬ জনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ও বাকিদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভূইঁয়া এমপি জানান, র‌্যাব একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। সন্ত্রাস দমন করার জন্য বিগত বিএনপি সরকার এ র‌্যাব সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার দমনের জন্য র‌্যাবকে দলীয় হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসভবনে ঢুকে তারা পাখির মতো নির্বিচারে গুলি করে। জেলা যুবদল ও বিএনপির ৩ জন নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি র‌্যাবকে দায়ী করে এ হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এদিকে বিএনপি দাবি করেছে, লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় র‌্যাবের গুলিতে ৯জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী।  এখনও অনেক নেতার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া কুমিল্লার লাকসাম কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল জলিলকে পুলিশ ও র‌্যাব গ্রেপ্তার করার জন্য তার বাড়িতে হামলা করে। তাকে না পেয়ে তার বাড়িতে লুটপাট করে এবং যাওয়ার সময় পরিবারের লোকজনকে ঘরের ভিতরে আটক রেখে বাইরে তালা মেরে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাদের প্রাণ রক্ষা করে। এ ঘটনায় সাবেক এমপি কর্নেল আনোয়ারুল আজিম এ বিষয়ে থানায় যোগাযোগ করলে অভিযানের কথা তারা স্বীকার করেন। কিন্তু র‌্যাব অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা। অথচ স্থানীয় লোকজন র‌্যাব-১১ লেখা একটি মাইাক্রোবাস দেখতে পেয়েছেন। বিএনপির দাবিতে অবরোধের শেষ দিন সারাদেশে ৭৭৫ জন আহত, গুলিবিদ্ধ ২৩০ জন, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৮০ জন। মামলা দায়ের করা হয়েছে ৩০০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেসনোট
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের তৃতীয় দফায় সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধের ষষ্ঠ দিনে গতকাল লক্ষ্মীপুরে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেসনোটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর জেলায় অবরোধ-সমর্থনকারী বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্রসহ আক্রমণ চালালে র‌্যাব সরকারি সম্পদ ও জনগণের জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে চারজন মৃত্যুবরণ করেন। প্রেসনোটে আরও বলা হয়, অবরোধ চলাকালে ফেনী জেলার লেমুয়া ব্রিজের কাছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিলে অগ্নিদগ্ধ চালক মাহবুবুল আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা বাজারে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অবরোধবিরোধী জনতার ওপর অতর্কিতে লাঠি ও রড দিয়ে হামলা চালালে দু’জন গুরুতর জখম হন। সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসমানী মেডিকেল কলেজের সামনে অবরোধ সমর্থনকারী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের ইট-পাটকেলের আঘাতে এএসআই কামাল গুরুতর আহত হন। এ কয়েকটি ঘটনা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও তৎপর থাকায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আর কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অবরোধের নামে নাশকতার হাত থেকে সরকারি সম্পদ ও জনসাধারণের জানমাল রক্ষার জন্য সরকার রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলেও প্রেসনোটে বলা হয়। এছাড়াও কয়েকটি জায়গায় অবরোধকারী বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিল, ভাঙচুর, অবরোধ, অগ্নিসংযোগসহ নাশকতামূলক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ ও ধাওয়ার মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। অবরোধের সময় দূরপাল্লার বাস চলাচলে অসুবিধা হলেও রাজধানীসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরে বিমান, ট্রেন, লঞ্চ এবং ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদালতসহ জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক ছিল বলে প্রেসনোটে দাবি করা হয়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, সরকারি সম্পদ ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি, অর্থনীতি ধ্বংস ও দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে যারা বিক্ষিপ্তভাবে সহিংস ও ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে, তদন্ত করে দ্রুত সেসব দুষ্কৃতকারীকে আইনের আওতায় আনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে প্রেসনোটে জানানো হয়।
মনোহরগঞ্জে পুলিশের গুলিতে শিবির কর্মী নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের নাথেরপেটুয়ায় পুলিশের গুলিতে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছে। গতকাল পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষের সময় উপজেলার বিপুলাসার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিবির কর্মীর নাম আনোয়ার হোসেন। তার বাড়ি উপজেলার দোপাইমুড়ি গ্রামে। পরে বাজারের অন্তত ২০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আট পুলিশ গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৩ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় কাদের মোল্লার রিভিউ খারিজ করে ফাঁসির রায় পুনর্বহালের প্রতিবাদে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা উপজেলার বিপুলাসার এলাকায় রেললাইনে অবস্থান নেয়। এছাড়া বাজারে দোকান ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় পুলিশ সেখানে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ জামায়াত-শিবিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে ওই শিবির কর্মী নিহত হয়। এছাড়া আট পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। মনোহরগঞ্জ থানার ওসি হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী জানান, সংঘর্ষে জামায়াত-শিবিরের হামলায় ৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলা পূর্ব শিবিরের সভাপতি আরিফ হোসেন শিবির কর্মী নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ফেনীতে হামলায় আহত কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীতে অবরোধকারীদের হামলায় আহতকাভার্ডভ্যান চালক মাহবুবুল আলম (৪২) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা গেছেন। বুধবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদরের লেমুয়া এলাকায় অবরোধকারীরা কাভার্ডভ্যানে ইট পাথর ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায় এবং এক পর্যায়ে কাভার্ড ভ্যানটিতে আগুন দেয়। এতে কাভার্ডভ্যান চালক মাহবুবুল আলম গুরুতর আহত হন। গতকাল দুপুরে ফেনীতে  শিবির কর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ২টি ককটেল নিক্ষেপ করলে নুরুল করিম (৪৫) ও আবু সুফিয়ান (৩৮) নামে দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে। আহতদের ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই শিবির কর্মীরা সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী শহরের মহিপাল অংশে ২টি কাভার্ডভ্যান ও ৩টি সিএনজি চালিত অটো রিকশায় আগুন দিয়েছে ।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. XNews2X - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু