চালকের গোঁয়ার্তুমিতেই লঞ্চডুবি- তদন্ত কমিটির তথ্য

Tuesday, May 6, 2014

চালকের গোয়ার্তুমির কারণে পটুয়াখালীর গলাচিপায় কালবৈশাখীর কবলে পড়ে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি শাথিল-১ ডুবে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে গঠিত কমিটি এমন তথ্য জানিয়েছে। লঞ্চডুবির ঘটনায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসন ৪ মে অতিরিক্ত জেলা হাকিম মো. দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, 'লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও  দ্বিতীয় দিন আমরা ঘটনাস্থল, উদ্ধার করা লঞ্চ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেছি। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে যেসব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজন এবং দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করা হয়েছে।' মো. দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর বলেন, তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার দুপুরে এমভি শাথিল-১ লঞ্চটি যখন গলাচিপার ইচাদি ঘাটে ছিল, তখনই কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় যাত্রীরা ওই ঘাট থেকে লঞ্চটি না ছাড়ার জন্য লঞ্চের চালক সুধীর চন্দ্র দাসকে অনুরোধ করে। কিন্তু চালক তা উপেক্ষা করে ইচাদি ঘাট থেকে লঞ্চটি ছেড়ে দেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে তিন লাখ টাকারও বেশি দামের মাছ ছিল। এসব মাছ বিকেল পাঁচটার মধ্যে পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তাড়াহুড়ো করছিলেন চালক। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য চালক সুধীর চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। লঞ্চডুবির পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে। ৩ মে দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপায় যাত্রীবাহী এমভি শাথিল-১ লঞ্চটি ডুবে যায়। এতে ১৬ জন যাত্রী নিহত হন।

চট্টগ্রামে নকশাবহির্ভূত ভবন অপসারণ শুরু

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) নগরের নকশাবহির্ভূত ভবন চিহ্নিত ও অপসারণ করতে অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের প্রথম দিন আজ মঙ্গলবার নগরের মেহেদীবাগ এলাকায় বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন করে চউকের পরিদর্শক দল। এ সময় অবৈধভাবে নকশার বিচ্যুতি ঘটিয়ে ও সড়কের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় অন্তত ১০টি ভবনের মালিককে নোটিশ দিয়েছে চউক। এসব ভবনের নকশাবহির্ভূত কিছু অংশ অপসারণ করা হয়। আর ভবনের অবৈধ অংশ পুরোপুরি অপসারণ করতে ২১ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় পরিদর্শক দল। নোটিশ দেওয়া ভবনগুলোর মধ্যে ভিশন ইসলাম ও ভিশন শাহানা ভবন, কমপোর্ট হাইটস, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ছয়তলা ভবন রয়েছে। চউকের অনুমোদিত কর্মকর্তা-২ প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম প্রথম আলোকে জানান, পাঁচটি কারণে এই অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ, চউকের নকশা অবৈধভাবে বিচ্যুতি ঘটিয়ে স্থাপনা নির্মাণ, ভবনের ব্যবহার পরিবর্তন, ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করা। মোহাম্মদ শামীম বলেন, নগরের অবৈধ ভবনগুলো চিহ্নিত করার জন্য এক মাস ধরে প্রাথমিকভাবে এই অভিযান চলবে। এরপর ভবনগুলো উচ্ছেদ করার জন্য বড় আকারের অভিযান পরিচালনা করা হবে। ভিশন ইসলাম ও ভিশন শাহানা ভবনের মালিক আতাউল হক বলেন, কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়ে ভবনের সামনের অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভবনটি চউকের নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। এদিকে আজকের অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চউকের উপপ্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, অনুমোদিত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামীম, নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আবু ঈসা আনছারী প্রমুখ।

হল-মার্কের ১০ মামলায় আসামি ২১

বাংলাদেশে আর্থিক খাতে সবচেয়ে বিতর্কিত হল-মার্ক দুর্নীতির ২৭টি মামলার মধ্যে ১০টির অভিযোগপত্রের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলার অভিযোগপত্রে মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১১ কর্মকর্তা ও হল-মার্কের সহযোগী তিন প্রতিষ্ঠানের ১০ কর্মকর্তা রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের নিয়মিত বৈঠকে এই ১০ মামলার অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন। অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, দুই উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন ও মোহাম্মদ সফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং দুই সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) কামরুল হোসেন খান ও এজাজ আহমেদ। এ ছাড়া ব্যাংকের জিএম অফিসের দুই মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান এবং ব্যাংকের শেরাটন হোটেল শাখার ডিজিএম এ কে এম আজিজুর রহমান, এজিএম মো. সাইফুল হাসান, এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আবদুল মতিন রয়েছেন। এ ছাড়া প্যারাগন নিট কম্পোজিটের এমডি মো. সাইফুল ইসলাম রাজা, পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মকুল হোসেন, ডিএন স্পোর্টসের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী, এমডি শফিকুর রহমান জন, পরিচালক ফাহমিদা আক্তার শিখা এবং খান জাহান আলী সোয়েটারের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, এমডি আবদুল জলিল শেখ, দুই পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মীর মো, শওকত আলীকে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ১০টি অভিযোগপত্রে এই ২১ আসামির বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৫৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।

পুরো চর্যাপদ মুখস্থ!

বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদ সম্পূর্ণ মুখস্থ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাকেরুল ইসলাম। তিনি বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার আর সি মজুমদার মিলনায়তনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের চর্যাপদের পদগুলো মুখস্থ শোনান তিনি। এটি যাচাই করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মেহের নিগার। অধ্যাপক সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সহসভাপতি ইসরাফিল আলম। এ ছাড়া সাংসদ ছলিম উদ্দীন তরফদার ও কবি মো. আবদুর রশীদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। বাংলা সাহিত্যের বুদ্ধ সহজিয়াদের সান্ধ্য ভাষায় রচিত দুর্বোধ্য পদগুলো সাবলীলভাবে বই না দেখে পড়ে শোনান জাকেরুল ইসলাম। এতে তিনি মাত্র আধ ঘণ্টা সময় নেন। লেখকের নামসহ ধারাবাহিকভাবে পাঠ করে তিনি উপস্থিত শ্রোতাদের 'মুগ্ধ' করেন। ইসরাফিল আলম বলেন, চর্যাপদ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে কিন্তু সম্পূর্ণ চর্যাপদ মুখস্থের ঘটনা এটাই প্রথম। উল্লেখ্য, ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ উদ্ধার করেন। চর্যাপদের মোট ৫১টি পদ রয়েছে।

সরকার পতনের ক্ষমতা বিএনপির নেই: এরশাদ

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি সংসদে নেই, আন্দোলনেও নেই। আন্দোলন করে সরকার পতনের ক্ষমতাও দলটির নেই। সে বিবেচনায় জাতীয় পার্টি ভালো অবস্থানে রয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে এরশাদ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। এর আগে এরশাদ রানীশংকৈল উপজেলায় তাঁর খামারবাড়ি ঘুরে দেখেন।
খালেদার নিন্দা
জিয়া ও মঞ্জুর হত্যায় তাঁকে সম্পৃক্ত করে খালেদা জিয়ার বক্তব্য সম্পর্কে এরশাদ বলেন, 'খালেদা জিয়ার বক্তব্যে আমি বিস্মিত হয়েছি। বিএনপি কয়েকবার ক্ষমতায় ছিল। খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেশ কয়েকবার। তখন তিনি এ প্রশ্ন তোলেননি। খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের আমি নিন্দা জানাই।' গত রোববার বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেছিলেন, 'জিয়া ও মঞ্জুর হত্যায় এরশাদ জড়িত। তাঁর বিচার করতে হবে।'
এরশাদ বলেন, '১৫-১৬ বছর পর কেন আমার নামে মঞ্জুর হত্যা মামলা দেওয়া হলো, তা আপনারা ভালো বোঝেন।'
মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। মানুষ এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না। গুম, হত্যা ও অপহরণ সরকারের ভালো কাজগুলোকে ম্লান করে দিয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হবে। মতবিনিময় সভায় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবদুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ ও রাজিউর রাজি চৌধুরী বক্তব্য দেন।

নির্যাতনের শোধ নিতে বাবার প্রাণ নিল মেয়ে

বারবার নির্যাতিত হয়ে অবশেষে শোধ নিতে বাবার প্রাণ কেড়ে নিলেন ২৩ বছর বয়সী মেয়ে। ভারতের পশ্চিম দিল্লির রাজৌরি গার্ডেন এলাকায় গত ২৯ এপ্রিল রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘাতক মেয়ে ও তাঁর দুই ছেলেবন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) রণবীর সিং বলেন, কুলভিনদর কাউর নামের ওই তরুণী তাঁর দুই বন্ধুর সাহায্যে গত ২৯ এপ্রিল রাতে ৫৬ বছর বয়সী বাবাকে হত্যা করেন। পুলিশ কুলভিনদর এবং তাঁর দুই বন্ধু প্রিন্স সানধু (২২) ও অশোক শর্মাকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, কুলভিনদর ওই রাতে বাড়ির ফটক খুলে দুই বন্ধুকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর তাঁরা ঘুমিয়ে থাকা দলজিত সিংয়ের ওপর চড়াও হন এবং ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে তাঁর ওপর নির্যাতন চালান। এরপর কুলভিনদর ও তাঁর বন্ধুরা ধারালো ভাঙা কাচ দিয়ে দলজিতের বুক চিরে পেসমেকার বের করে ফেলেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা দলজিতের পা ও গলা তার দিয়ে বেঁধে লাশ পশ্চিম দিল্লির খায়ালা এলাকায় একটি খালের কাছে ফেলে দেন। পরের দিন সকালে পুলিশ দলজিতের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ক্রিকেটের স্টাম্প, রক্তমাখা কাপড়, তার, নিহত দলজিতের মুঠোফোন এবং লাশ বহনকারী গাড়িটি জব্দ করেছে। দ্য হিন্দু জানায়, দলজিত সিং ট্রাভেল এজেন্সির গাড়িচালক ছিলেন। তিন বছর আগে তাঁর স্ত্রী মারা যান। তাঁর তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। তিনি ছোট মেয়ে কুলভিনদরকে সঙ্গে নিয়ে থাকতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কুলভিনদর জানান, তাঁর বাবা ৩০ এপ্রিল ভোর পাঁচটার দিকে ট্যুরের জন্য বের হয়ে যান। কিন্তু পরবর্তী সময় জেরার মুখে কুলভিনদর বাবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। মেয়ে জানান, মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাবা সব সময় নির্যাতন করে আসছিলেন। তাঁর দুই বন্ধু যখন লাশ ফেলে আসতে যান তখন তিনি বাড়িতে পড়ে থাকা রক্ত পরিষ্কার করছিলেন। 

শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেন না.গঞ্জের আইনজীবীরা

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনের হত্যার ঘটনায় আগামী শনিবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা। এ সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে রোববার র্যাব-১১-এর কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সামনের সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। কর্মসূচি সম্পর্কে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, 'ঘটনার এত দিন পেরিয়ে গেলেও মূল আসামির কেউই গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা চাই, দ্রুত আসামিরা গ্রেপ্তার হোক। সে কারণে শনিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি আমরা। শনিবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে রোববার র্যাব ১১-এর কার্যালয় ঘেরাও করব আমরা। এটা প্রতীকী ঘেরাও কর্মসূচি। আমরা আসলে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখতে চাই।'

মুসলিম ব্রাদারহুড শেষ: সিসি

Monday, May 5, 2014

মিসরের নিষিদ্ধঘোষিত ইসলামপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অগ্রবর্তী প্রার্থী ও সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। গতকাল সোমবার একই সঙ্গে তিনি বলেন, মুসলিম ব্রাদারহুড শেষ হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, মিসরের বেসরকারি সিবিসি ও অনটিভির যৌথ সাক্ষাত্কারে সিসি বলেন, 'আমি আপনাদের বলতে চাই, মুসলিম ব্রাদারহুডকে আমি শেষ করিনি। আপনারা, মিসরীয়রাই এটাকে শেষ করেছেন।' সহিংস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মুসলিম ব্রাদারহুডের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিসি। তাঁর দাবি, তাঁকে হত্যার দুটি ব্যর্থ ষড়যন্ত্র উন্মোচিত হয়েছে। ২৬-২৭ মে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে সিসি সহজ জয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের জুলাইয়ে রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন সিসি। মুরসি ও মুসলিম ব্রাদারহুডের বহু নেতা-কর্মী বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করেছে মিসরের কর্তৃপক্ষ।

ঐশ্বরিয়ারা যে হাসপাতালে যান

ভারতে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোর বিলাসিতা ও জৌলুস রীতিমতো পাঁচতারকা হোটেলের মতো। এমনই একটি হাসপাতালে মা হয়েছেন বলিউড তারকা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। সেভেন হিলস নামের ওই হাসপাতালে একটি স্যুটে এক রাত অবস্থানের খরচা ২০ হাজার রুপি। এর সঙ্গে শুল্ক তো আছেই। আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিত্তশালীরা অসুস্থ হলে এসব বিলাসবহুল হাসপাতালে যান। হাসপাতালগুলো রোগীদের চিকিত্সার চেয়েও বেশি কিছু দেয়। ভিন্ন ধারার এই হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে টাকাও লাগে কাঁড়ি কাঁড়ি। গরিবদের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। বিলাসবহুল ওই হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতাল লিমিটেড, ফর্টিস লা ফেম, হিরানন্দনি হাসপাতাল, সেভেন হিলস হাসপাতাল প্রভৃতি। এসব হাসপাতালে অভিজাত শ্রেণীর বিশিষ্ট রোগীদের জন্য এমন ব্যবস্থা রয়েছে, অসুস্থ অবস্থায় সেখানে বসেই কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বা মন্ত্রী তাঁর দপ্তর চালাতে পারবেন। বিলাসী বিছানা, চাহিদা অনুযায়ী খাবারদাবারের বাইরে হাসপাতালগুলোর প্রতিটি স্যুটে ওয়াইফাই, বড় এলইডি টিভিসহ অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সমাহার ঘটানো হয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের একটি স্যুটে এক রাত কাটাতে খরচ পড়ে প্রায় ৩০ হাজার রুপি। দক্ষিণ দিল্লির ফর্টিস লা ফেমে এই খরচ প্রায় ৩৭ হাজার রুপি। এই খরচে নয়াদিল্লির পাঁচতারকা হোটেল দ্য ওবেরয়ে দুই রাত থাকা যায়। মুম্বাইয়ের হিরানন্দনি হাসপাতালের একটি স্যুটে এক রাত থাকার খরচ আসে ৩০ হাজার রুপি। সেভেন হিলস হাসপাতালে এই খরচ ২০ হাজার রুপি। আর এই খরচের মধ্যে শুল্ক অন্তর্ভুক্ত নয়। ফর্টিস লা ফেমে সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই দিনের একটি প্যাকেজ আছে। এতে খরচ আসতে পারে চার-পাঁচ লাখ রুপি। অ্যাপোলো হাসপাতালের পরিচালক অনুপম সিবাল দাবি করেন, তাঁদের সেবার মান অন্য সব হাসপাতালের চেয়ে ভালো। তাঁরা রোগীকে ভিন্ন স্বাদ দেন। দেশ, জাতি, ভাষা এমনকি ধর্মভেদে বিভিন্ন রোগীর চাহিদার সবকিছুই মেটানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। ফর্টিস লা ফেম হাসপাতালের এক কর্মকর্তার দাবি, তাঁদের দেওয়া কিছু সুযোগ-সুবিধা বিশ্বের মধ্যে সেরা।

এরশাদের বিকল্প খুঁজছে জাপা by শেখ সাবিহা আলম @প্রথম আলো

দলে 'গণতন্ত্র' আনতে সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিকল্প খুঁজছে জাতীয় পার্টির (জাপা) একাংশ। দলের নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রের ৩৯-এর ক ধারায় দলের যেকোনো বিষয়ে চেয়ারম্যানকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া আছে। ডিসেম্বরে জাতীয় পার্টির কাউন্সিলে এ ধারাটি পরিবর্তনের একটি উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। এতে চেয়ারম্যানের ক্ষমতাও খর্ব হবে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য বলেছেন, তাঁরা মনে করেন জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যান পদে এরশাদ থাকায় দলটি সংগঠিত হতে পারছে না। এরশাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা আছে। এরশাদ যখনই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যান, তখন তাঁকে মামলার ভয় দেখানো হয়। তিনিও এতে 'বিচলিত' হয়ে পড়েন। দলের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে করেন, এরশাদের জায়গায় আর কেউ দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নিলে জাতীয় পার্টি স্বাধীনভাবে চলতে পারবে। এ ছাড়া সম্প্রতি জাপার সভাপতিমণ্ডলী ও সাংসদদের যৌথসভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য ও এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ প্রকাশ্যে নিজের ইচ্ছামতো দল চালানোর জন্য এরশাদকে গালমন্দ করেন। ওই দিনই দলটি থেকে ঘোষণা আসে এখন থেকে জাতীয় পার্টি গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রা শুরু করবে।
জাতীয় পার্টির সাংসদ ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর দলটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু অবশ্য চেয়ারম্যান পদে কোনো পরিবর্তন হবে কি না অথবা গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আসছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। তবে তিনি বলেন, দেশের কোনো বড় দলেই গণতন্ত্র নেই। জাতীয় পার্টি দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। ডিসেম্বরে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেই কাউন্সিলেই গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত আসবে। এর আগে জাতীয় যুবসংহতির কাউন্সিলে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি গ্রহণের পর কাউন্সিলের দিন এরশাদ ঠিক করে দেন যুবসংহতির সভাপতি কে হবেন। তবে জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ বাবলু বলেছেন, সে সময় তিনি মহাসচিব ছিলেন না। এখন থেকে যা কিছু হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হবে। নয় বছর 'সফল'ভাবে দেশ পরিচালনার পরও কেন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসছে না, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। যেখানে ত্রুটি আছে, সেই ত্রুটি দূর করতে হবে।
পানিসম্পদমন্ত্রী, সাংসদ ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদও বলেছেন, জাতীয় পার্টি এখন থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলবে। তবে দলে রদবদল এনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে কি না, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি। তিনি বলেন, জাপা এখন থেকে জনগণের সমস্যা নিয়ে কথা বলবে, রাস্তায় নামবে। এভাবে দলও সংগঠিত হবে, জনসম্পৃক্ততাও বাড়বে। তবে, 'নতুন' জাতীয় পার্টির হাল ধরবেন কে, সে ব্যাপারে পরিষ্কারভাবে কেউ কিছু বলছেন না। সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, দলের দায়িত্ব এরশাদের স্বজনদের হাতে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের পছন্দ তাঁর ভাই জি এম কাদের। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ এরশাদের হাতের বাইরে চলে গেছে। রওশন এরশাদের নেতৃত্বে দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়। দলের একটি অংশ চায় রওশন এরশাদ দলের হাল ধরুন। অন্য অংশটি চায় জাতীয় পার্টির সরকারপন্থী অংশটির নেতৃত্ব যাঁরা দিচ্ছেন, তাঁরাই দলের নেতৃত্বে আসুন। আবার জাতীয় পার্টির কিছু সদস্য চান এরশাদের ভাই জি এম কাদের দলের নেতৃত্ব দিন। প্রায় পাঁচ মাস লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা জি এম কাদের হঠাত্ গত ১ মে জাতীয় শ্রমিক পার্টির সমাবেশে হাজির হন। তবে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সাবেক এক সাংসদ প্রথম আলোকে বলেন, চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য একটি চক্র তত্পর রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে মানুষ চেনে এরশাদের নামেই। এখানে আর কেউ এলে দল সংগঠিত হবে—এ ভাবনা অমূলক।
এ বিষয়ে এরশাদ কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি পদত্যাগ করেছেন—এমন গুজব রটার পর এরশাদ পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন, 'কার কাছে পদত্যাগ করব, সেই বীরপুরুষটা কে?' এর আগে এরশাদ তাঁর অবর্তমানে দলের চেয়ারম্যান কে হবেন, সে নিয়ে 'গোটা জাতিই গোলকধাঁধার মধ্যে' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। তবে ওই প্রবন্ধে তিনি তাঁর ভাই জি এম কাদেরের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন, 'উকিলের ছেলে উকিল, ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার, ব্যবসায়ীর ছেলে ব্যবসায়ী হতে পারলে রাজনীতিকের সন্তান বা তার আত্মীয়স্বজন রাজনীতি করতে পারবে না কেন? সেখানে অবশ্য দেখতে হবে নেতৃত্ব গঠনটা কি উত্তরাধিকারসূত্রে হয়েছে, না যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে? জি এম কাদের রাজনীতিতে এসেছেন, নির্বাচন করেছেন। দুইবার এমপি হিসেবে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন। দল যদি মনে করে জি এম কাদের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য উপযুক্ত তাহলে তা-ই হবে।' এরশাদের ইঙ্গিত এখানে খুব পরিষ্কার।

শ্রম প্রতিমন্ত্রীর বোধোদয়!

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু অকপটে স্বীকার করেছেন, তিনি কিছুদিন আগেও গৃহকর্মীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। কিন্তু সম্প্রতি গৃহকর্মীদের এক সমাবেশে গিয়ে তাঁর বোধোদয় হয়েছে। তিনি এখন মনে করেন, গৃহকর্মীদেরও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও সাপ্তাহিক ছুটি থাকা উচিত। আজ সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণসাক্ষরতা অভিযান এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ আয়োজনের এক পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমার বাসায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে কাজ করে একটু কিছু হলেই তাকে ঠাস করে চড় মারতাম। একটু কিছু হলে আমার ওয়াইফও মারত, গালি দিত। দুই মাস আগে গৃহকর্মীদের এক সমাবেশে যাই। এক গৃহকর্মী আমাকে বলে, "বাসায় টেলিভিশন, ফ্রিজেরও নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। কিন্তু আমি কই ঘুমাব সেই জায়গা নাই। একেক দিন একেক জায়গায় ঘুমাই।" সেই গৃহকর্মীর কথা শুনে মনে হলো, বাসায় যে কাজ করে তার কর্মঘণ্টা থাকবে, সাপ্তাহিক ছুটি লাগবে, আমি তো তা চিন্তা করি নাই!'
রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত পলিসি ডায়ালগে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমার এ কথা আপনারা অন্যভাবে নেবেন না। আমি এত বছর ধরে রাজনীতি করি। সমাবেশে কত কথা বলি। ওয়ার্ক পেপার বানাই। গৃহকর্মীদের কথা কখনোই বলি নাই। আসলে সবার ঘর থেকেই শুরু করতে হবে।' বিশ্বব্যাংকের 'দি ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট ২০১৩: জবস' প্রতিবেদনের বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য দাতা সংস্থা, সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিনিধিসহ অংশীদারদের সঙ্গে এ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গৃহকর্মীদের জন্য সুরক্ষাবিষয়ক একটি নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এ নীতিমালার আলোকে একটি আইন করা হবে। কৃষিশ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
পোশাকশিল্প কারখানা তৈরি, কর্মসংস্থান, শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো কোনো সরকারের আমলেই সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়নি বলে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা স্থিতিশীল ছিল না। ১৯৯০-এর পরে স্থিতিশীলতা আসে। দক্ষতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় যে কাউন্সিল তার সভাও নিয়মিত হয় না। এর ফলে অনেক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে অনেক ভালো নীতি আছে। রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে নীতির বাস্তবায়ন হয় না। পোশাকশিল্প কারখানার কর্মপরিবেশ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমি বিভিন্ন কারখানায় যাই। নারীরা কেমনে, কী পরিবেশে কাজ করে তা দেখার জন্য নারীদের মাঝে বসি। দীর্ঘক্ষণ বসার পর আমি ঘেমে যাই। তখন মালিককে বলি। একইভাবে নারীদের বাথরুমে যাই। নোংরা বাথরুম দেখলে লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার কথা বলি।' ডায়ালগে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে সাংসদ শিরীন আখতার, পোশাকশিল্প কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশি হিসেবে আমি লজ্জিত @প্রথম আলো

আতঙ্কের শহরে কান্নার রোল
একসঙ্গে সাত ব্যক্তি অপহরণের তিন দিন পর বুধবার নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলামসহ ছয়জনের লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন শহরে স্বজন-সতীর্থদের কান্নার রোল পড়ে যায়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে পাঠক জে হোসেইনের মন্তব্য: বাংলাদেশের প্রশাসন এই কান্নার আওয়াজ কি শুনতে পাচ্ছে? প্লিজ, কিছু করেন।
সোলায়মান: পুলিশ প্রশাসন সচল হওয়ার পরও এতগুলো মানুষকে কীভাবে শীতলক্ষ্যায় নিয়ে ডোবানো গেল? তাহলে খুনিরা প্রশাসনের ভেতরেই রয়েছে—এ সন্দেহ করলে কি অমূলক হবে?
মো. মনিরুল হাসান: চারদিকে শকুন, হায়েনার জয়জয়কার; সাধারণ মানুষের কলিজা ঠুকরে খাচ্ছে। আমরা কি এই আতঙ্ক রেখে যাচ্ছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
মো. জহিরুল ইসলাম: রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার দায়িত্ব কার? এই প্রশ্নের উত্তর কি সরকার জানে না?
রাজু: বাংলাদেশি হিসেবে আমি লজ্জিত। আল্লাহ, আপনি এই জালেমদের হাত থেকে আমাদের ও দেশকে রক্ষা করেন।
মাহফুজা বুলবুল: 'সব লাশের হাত-পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা, পেট চেরা। মনে পড়ছে কিশোর ত্বকীকে। তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ত্বকীর মা-বাবা এখনো ত্বকীর হত্যাকারীদের হুমকি মাথায় নিয়ে বিচারের আশায় কাঁদছেন। ত্বকী হত্যার বিচার হলে আজকের এ নৃশংস ঘটনা নারায়ণগঞ্জবাসীকে দেখতে হতো না।
'মাঝে মাঝে লোডশেডিং ভালো'
অতীত স্মরণ রাখতে মাঝে মাঝে কিছুটা লোডশেডিং হওয়া ভালো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এর সমালোচনা করে পাঠক আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের লিখেছেন: মানুষ ব্যর্থ হলে লজ্জিত হয়, উত্তীর্ণ হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর এসব মানুষ ও তাঁর দল মানুষের কষ্ট নিয়ে উপহাস করে।
মাহফুজা বুলবুল: অতীতকে স্মরণ করবে শুধু সাধারণ জনগণ, তা সে যে অতীতই হোক। আর ভাগ্যবান ক্ষমতাসীনেরা ক্ষমতার স্বাদ-গন্ধে বিভোর হয়ে থাকবেন।
সোহেল: মাঝে মাঝে লোডশেডিং হলে খাম্বা যুগের মোমবাতি মিছিলের কথা মনে পড়ে!
সুজন: সাধারণ পাবলিকের ঘরে এসে গরমের যন্ত্রণা উপভোগ করে এমন মন্তব্য করতে পারলে
আপনার কথা মেনে নেব।
এস দেওয়ান: ঠিকই বলেছেন। লোডশেডিং না হলে মানুষ বিদ্যুৎচালিত জিনিসগুলো বন্ধ করতে চায় না। লোডশেডিং হলে ওই সব জিনিস শীতল হওয়ার সুযোগ পায়।
মো. হাসনাইন ফয়সাল: লোডশেডিংটা শীতকালে দিলে হতো না!! গরমে মানুষকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি?
কামাল: জনগণের সেবা খোলা মন নিয়েই করতে হয়। আপনাদের হাতে চাবি আছে, তাই অসহনীয় গরমে লোডশেডিং দিয়ে অতীত মনে করাতে চান। তাহলে সাধারণ জনতাও দিন গুনতে থাকবে, কবে সময় আসবে সেই চিন্তায়। দেশকে আর দেশের মানুষকে ভালোবাসেন, কাজ করেন দেশসেবার মানসিকতা নিয়ে। সাধারণ জনতা কিছুই ভোলে না।
রুবাইয়াত হাসান: মাঝে মাঝে সরকার বদল হওয়া ভালো! তাহলে দুঃশাসনটা মানুষ ভুলে যাবে না!
ভারতের পরবর্তী পররাষ্ট্রনীতি
ভারতের নির্বাচনে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি কেমন হতে পারে—এ ব্যাপারে এই কলামে আলোকপাত করেছেন যশবন্ত সিং। তিনি ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ব্যাপারে আসিফুল হকের মন্তব্য: প্রতিবেশীকে বিপদে ফেলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারে না। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলা হলে আপনারা নিজেদের দেশেরই বিপদ ডেকে আনবেন। এই সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া আর আপনাদের সেনাবাহিনী দিয়ে সেই বিপদ থেকে রক্ষা পাবেন না।
এছলাম সরকার: সাফ কথার মানুষ যশবন্ত সিং কূটনীতির ঘোমটা পরতে পছন্দ করেন না। এখানে তিনি যে সরল বক্তব্যটি দিয়েছেন, তার গরলার্থ হলো, এই অঞ্চলে ভারতকে আঞ্চলিক পুলিশ হতে হবে।
তবে এই আকাঙ্ক্ষার সবচেয়ে বড় বাধা যে চীনারা, এটি ভারতের সামরিক পরিকল্পকেরা জানেন। ইসরায়েল-আমেরিকার অধীনে সন্ত্রাস দমনের প্রশিক্ষণের নামে আধুনিক অস্ত্র ক্রয় সত্ত্বেও এক চীনা ধাক্কায় যে সব ঝরঝর করে ভেঙে পড়বে।
প্রবীর পাল: সরকার পরিবর্তন হলেও বড় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তন খুব ঝট করে হয় না। তাই অযথা ভয়ে জর্জরিত হওয়ার কিছু নেই।

দু-একজনের কর্মকাণ্ডে র‌্যাবের ভাবমূর্তি ম্লান হবে না: আমু

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, র‌্যাব বিভিন্ন সময় কাজ করে যে সম্মান অর্জন করেছে, তা দু-একজনের কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই ম্লান হবে না। আজ সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সচিবালয়ে বৈঠকটি প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন শিল্পমন্ত্রী। র‌্যাবের সদস্যরা ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যা করেছে—নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলামের এমন অভিযোগের প্রসঙ্গে কথা বলেন আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, অনেকে অনেক রকমের অভিযোগ করছে। প্রত্যেক অভিযোগকেই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো র‌্যাব কর্মকর্তা বা অন্য কেউ জড়িত থাকেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংস্থা র‌্যাব বন্ধ করার যে প্রস্তাব দিয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'আমেরিকায় যেসব ঘটনা ঘটছে, তারা সেসব নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। এ দেশের বিষয় আমরা দেখব।' আমির হোসেন আমু বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সঠিক তথ্য উদ্ধার করা হবে। যথাযথ বিচারের মাধ্যমে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তত্পর রয়েছে। তদন্তকাজ চলছে। সঠিক তথ্য উদ্ধার হলেই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। শিল্পমন্ত্রী জানান, আজকের বৈঠকে অস্ত্র, মাদক, ইয়াবাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সীমান্তে যেসব ইয়াবা কারখানা রয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মোদি সরকার গড়লে সঙ্গে থাকবেন মমতা!

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ইন্দিরা তিওয়ারি বলেছেন, মোদি সরকার গড়লে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর (মোদি) সঙ্গে থাকবে। কলকাতার একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে আলাপকালে ইন্দিরা এ কথা বলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ওই প্রার্থী বলেন, 'কেন্দ্রে মোদির সরকার হলে সেই সরকারে যাবেন মমতা, লিখে নিন।' বারানসি থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, তৃণমূলের প্রার্থী ইন্দিরা তিওয়ারি বারানসিতে ঘোষণা করেছেন, 'দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমাকে নয়, মমতাদির কথা মনে করে তৃণমূলে একটি ভোট দিন।'
খবরে জানা যায়, ইন্দিরা তিওয়ারি এখন বাঙালিপাড়া আর মুসলিম ভোটারদের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও অধিকাংশ বাঙালিই এবার ঝুঁকে পড়েছেন মোদির দিকে। এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনটি। কারণ এই আসনে এবার লড়ছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি। আরও লড়ছেন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার আম আদমি পার্টির (্এএপি) অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সব মিলিয়ে এই আসনের প্রার্থী ৪২ জন। এই তালিকায় ১০ নম্বরে আছেন ইন্দিরা তিওয়ারি। ইন্দিরা তিওয়ারি উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠির আত্মীয়। তিনি হিন্দু মহাসভার একজন সংগঠক। তিনি ভালো বাংলা জানেন। বারানসির বাঙালিপাড়ায় জন্ম তাঁর।

গুম-খুন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা @বাংলানিউজ

অবিলম্বে সারাদেশব্যাপী গুম-খুন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। একই সঙ্গে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের দাবিও জানানো হয়। শিগগিরই এটা বন্ধ করা না গেলে দেশের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও মন্তব্য করেন তারা। সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির ব্যনারে গুম, খুন ও অপহরণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়। বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ড. শাহদীন মালিক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, ড. কামাল হোসেনের মেয়ে সারাহ হোসেন, স্থপতি ইকবাল হাবিব, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী ড. হামিদা হোসেন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সালমা আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আমেনা মহসিন প্রমুখ।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমরা এখন খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন পার করছি। বর্তমানে খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। এ দেশ কারও কাছেই কাম্য নয়। আমরা এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ চাই। স্বজনহারাদের কান্না দেখার জন্য দেশ স্বাধীন হয় নাই। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোনো দেশে গুম-খুন বাড়তে থাকলে, সেটা সে দেশের অর্থনীতির জন্য ভীষণ উদ্বেগের। এটা একটা দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। আমাদের দেশে এখন সে পরিস্থিতি চলছে। এরকম চলতে থাকলে বিদেশিরা আমাদের দেশে বিনিয়োগ করবেন না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যহত হলে অর্থনৈতিক উন্নতি ব্যহত হয়। তাই অবিলম্বে গুম-খুন বন্ধ করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এম হাফিজ উদ্দিন বলেন, আমরা  স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। আর গুম খুন দেখতে চাই না। একটা স্বাধীন দেশ এভাবে চলতে পারে না। আমরা এ ধরনের রাষ্ট্র চাই না। এর পরিবর্তন চাই। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটি দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন গোয়েন্দা সংস্থা শক্তিশালী হয়। আমাদের দেশে এখন তাই হয়েছে। তিনি র‌্যাব বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এ বাহিনীর আর আমাদের প্রয়োজন নেই। এখনই এটা বন্ধ করা হোক। খুশি কবির বলেন, গুম-খুনের দায় রাষ্ট্র তথা সরকার এড়াতে পারে না। এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি দুই রাজনৈতিক জোটকে দলাদলি না করে অবিলম্বে গুম খুন বন্ধের দাবি জানান। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর কথা বলেন। সালমা আলী বলেন, দেশের এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার খর্ব হয়েছে। আমরা এর একটি স্বচ্ছ বিচার চাই। যারা জড়িত  তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিশিষ্ট নাগরিকদের এ মানববন্ধনে স্বজনহারাদের কান্নায় কিছু সময়ের জন্য ভারি হয়ে যায়। স্বজনহারাদের কান্না উপস্থিত সবাইকে নাড়িয়ে যায়।

বেনাপোল সতর্ক, ফটকে নূর হোসেনের ছবি

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের আসামিরা যাতে দেশ ছাড়তে না পারে সেজন্য বেনাপোল সীমান্তে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা বিশেষ সর্তক অবস্থায় রয়েছে। আসামিরা যাতে পাসপোর্টের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করে বা অবৈধভাবে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হয়ে ভারতে যেতে না পারে, সেজন্য বিজিবির জওয়ানদের সর্তক করা হয়েছে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টের ফটকের সামনে ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেনসহ তালিকাভুক্ত অপরাধীদের ছবি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরা বিশেষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বৈধপথে অপরাধীদের দেশত্যাগের সুযোগ নেই বলেও ওসি জানান।
জানতে চাইলে ২৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউর রহমান বলেন, 'নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের পর সতর্ক থাকার জন্যে আমাকে কেউ কোনো নির্দেশ দেয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সীমান্তের প্রত্যেকটি বিওপি'র (বিজিবি ক্যাম্প) সদস্যদের বিশেষ সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।' গত ২৭ এপ্রিল দুপুুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে উঠে সাতজনের মরদেহ। এই সাতজন হলেন এক গাড়িতে থাকা কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তাঁর সঙ্গী তাজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান স্বপন, লিটন ও তাঁর গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আরেকটি গাড়িতে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলাও করেছে নজরুলের পরিবার।

৭৫ রুপির জন্য ৫০ লাখ রুপি জরিমানা!

২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের এক সকাল। দিল্লির বাসিন্দা ডি কে চোপড়া চেন্নাই বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ। সময় কাটাতে তিনি বিমানবন্দরের রেস্তোরাঁ সপ্তগিরি রেস্টুরেন্টের স্ন্যাকবার ইউনিট থেকে রেড বুল নামের একটি এনার্জি ড্রিংক কেনেন। সেটির গায়ে দাম লেখা ছিল ৭৫ রুপি। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে দাম নেওয়া হয়েছে দ্বিগুণ অর্থাত্ ১৫০ রুপি। এই দাম দেখে অনেকটা বিরক্ত হয়েই রেস্টুরেন্ট মালিককে একটি আইনি নোটিশ দেন চোপড়া। কিন্তু দোকানি কোনো উত্তর না দেওয়ায় চোপড়া জেলা ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি ফোরামের কাছে 'হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণা' দেওয়ার অভিযোগে দুই লাখ এবং যাতায়াত ও আইনি খরচ হিসাবে ১১ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু ফোরামও তাঁর অভিযোগ খারিজ করে দেয়। চোপড়া এতেও দমে যাননি। তিনি দারস্থ হন রাজ্য ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের। কিন্তু সেখানে তিনি পণ্যের দাম প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এমন দাবি করে তাঁর আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয়। কমিশনে তিনি পানীয় কেনার দুটি বিল দাখিল করলেও সেই বিলে দোকানির কোনো স্বাক্ষর ছিল না।
চোপড়া যোগাযোগ করেন জাতীয় ভোক্তা বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে। সেখানে স্ন্যাকবারের পক্ষে তাদের কৌঁসুলি যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ওই দোকানির দ্বিগুণ দাম নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। সেখানে তাঁরা চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উপমহাব্যবস্থাপকের (বাণিজ্যিক) একটি চিঠি দাখিল করেন। ওই চিঠিতে আমদানি করা জুস বা এনার্জি ড্রিংকের মূল্য ১৪০ রুপি নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে। রেড বুলকে কীভাবে ফলের রসের ক্যাটাগরিতে ফেলা হলো—এ প্রশ্নের জবাবে স্ন্যাকবারের কৌসুলি বলেছেন, 'খুব বেশি চিন্তাভাবনা না করেই বলা যায়, রেড বুল আমদানি করা এনার্জি ড্রিংক।' জবাবে কমিশন বলেছে, এ ধরনের মূল্যতালিকা যেকোনো সময়ই তৈরি করা যায় এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে এ ধরনের দাম নির্ধারণের আইনি মূল্য সামান্যই। তা ছাড়া চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওই চিঠিটির অনুমোদন ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) কাছ থেকে নেওয়া হয়নি। আর দাম নির্ধারণের ওই বিষয়টিতে এএআইয়ের অনুমোদন থাকলেও, তারা বেশি দাম নিতে পারতেন না। এএআই সাধারণত খুচরা মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে চায় না। ঘটনার পাঁচ বছর পর কমিশন তাদের রায়ে বলে, জনগণের অর্থ আত্মসাতের কোনো অধিকার স্টল মালিকের নেই। তাই এই অর্থ আবার জনগণকে ফেরত দিতে হবে। এই স্টল মালিক ২০০৯ সালের আগে থেকে এভাবে জনগণের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন। তাই কমিশন ওই স্টল মালিককে ১০ হাজার রুপি চোপড়াকে ও ভোক্তা কল্যাণ তহবিলে ৫০ লাখ রুপি জরিমানা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

এটা কি মগের মুল্লুক?- সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর সাত খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠীর আলোচনা সভায় তিনি এই সমালোচনা করেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না, নারায়ণগঞ্জের ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে। এ ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতার আশ্রয়-প্রশ্রয় থাকতেই পারে। ঘটনার সাত দিন পর আপনি অপরাধীর বাড়ি গিয়ে অভিযান চালিয়েছেন। কেন এর আগে চালানো হয়নি? মানুষ অভিযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাচ্ছে। তাঁরা বসে বসে হিসাব করেন কার অভিযোগ নেবেন কি নেবেন না। এটা কি মগের মুল্লুক? এটা আইনের বরখেলাপ।'
অপহরণ ও খুনের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, নেতৃত্বশালী, ব্যক্তিত্বশালী ও আইন সম্বন্ধে ধারণা আছে, এমন একজন অভিজ্ঞ পূর্ণমন্ত্রী প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত বলেন, 'নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমি বলব, অল্প সময়ে এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত রয়েছে, তাঁদের খুঁজে বের করে শাস্তি না দিলে সেটা আইনের বরখেলাপ হবে। এই অপরাধে যাঁদের প্রত্যাহার করেছেন, এঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টল প্রসিকিউশন (বিভাগীয় ব্যবস্থা) হওয়া উচিত।' নারায়ণগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নূর হোসেন প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, 'কেউ একজন বলল দোষীরা দেশ ছেড়ে যায়নি। এটা আল্লাহর রহমত। কিন্তু এই মাল তো আওয়ামী লীগের মাল না। নূর হোসেন প্রথমে জাতীয় পার্টি, তারপর বিএনপি, তারপর আওয়ামী লীগ। ওর তো কোনো দল নাই, সব সময় সরকারি দল।' সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।

ক্ষুব্ধ পুতিন

ইউক্রেনে সহিংসতায় ক্ষুব্ধ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ইউক্রেন সর্বাত্মক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ওদিকে আগামী ২৫শে মে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। ইউক্রেনের রাজধানীতে নিহত সেনাদের স্মরণে দু'দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। নৃশংসতার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ক্ষুব্ধ পুতিনের ওপর ইউক্রেন গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হওয়ার প্রেক্ষিতে সেনা ট্যাঙ্ক পাঠানোর চাপ বাড়ছে। ক্রেমলিন থেকে শনিবার দিবাগত রাতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ওদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ওডেসায় পুলিশ সদর দপ্তরে গতকাল হামলা করেছে রাশিয়াপন্থিরা। দু'দিন আগের হামলায় কয়েক ডজন মানুষ নিহত হওয়ার পর গতকাল নতুন করে এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। চলমান সংঘাত ও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছেন, ইউক্রেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে বেশ কয়েক শ' মানুষ সমবেত হলে সংঘাত শুরু হয়ে যায়। তবে ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আরসেনিয়ে ইয়াতসেনুক পুলিশকে দায়ী করেছেন সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। তিনি ওই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, কর্তৃপক্ষ সহিংসতা দমনের জন্য কিছুই করেনি। তাদের প্রচেষ্টা ছিল অনুল্লেখযোগ্য।

বিমান নিখোঁজে সম্পৃক্ততা সন্দেহে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট ১১ জন গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ বিমান নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এবারে বিমান নিখোঁজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা সন্দেহে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সন্দেহভাজনদের বয়স ২২ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ও কেদাহ অঙ্গরাজ্য থেকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে ছাত্র, শ্রমিক, অল্পবয়সী এক বিধবা ও কয়েকজন ব্যবসায়ী। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই ও বৃটেনের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ কে ডাকা হয়েছে। আটক ব্যক্তিরা নতুন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার বিশেষ বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর বিমান নিখোঁজের পেছনে সন্ত্রাসীদের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বিমানটির যাত্রাপথ পরিবর্তনের পেছনে জঙ্গিদের হাত থাকার আশঙ্কা এখনও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজনদের কয়েকজন মালয়েশিয়াতে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছে। তবে তারা নিখোঁজ বিমানের সঙ্গে কোন প্রকার সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছে। ৮ই মার্চ বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ফ্লাইট এমএইচ-৩৭০। ২৩৯ আরোহী সহ তা নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রায় দু'মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযানে সুনির্দিষ্ট কোন ফলাফল মেলেনি। বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়া ফ্লাইটটির শেষ মুহূর্তের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে তাদের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ করে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ৮ই মার্চ বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার ৪ ঘণ্টা পর কর্মকর্তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করে। আন্তর্জাতিক উদ্ধার অভিযানের প্রধান অস্ট্রেলিয়ার অ্যাঙ্গাস হিউস্টন বলেন, কর্তৃপক্ষ এখনও বিমানটি খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে কোন ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে আরও ৮ থেকে ১২ মাস লাগতে পারে। উদ্ধার অভিযান তৎপরতার পরবর্তী দিকনির্দেশনা নিরূপণ করতে আগামী সপ্তাহে ক্যানবেরাতে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও চীনের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. XNews2X - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু