চালকের গোয়ার্তুমির কারণে পটুয়াখালীর গলাচিপায় কালবৈশাখীর কবলে পড়ে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি শাথিল-১ ডুবে গিয়েছিল। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে গঠিত কমিটি এমন তথ্য জানিয়েছে। লঞ্চডুবির ঘটনায় পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসন ৪ মে অতিরিক্ত জেলা হাকিম মো. দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বরকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, 'লঞ্চডুবির ঘটনা তদন্তে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দিন আমরা ঘটনাস্থল, উদ্ধার করা লঞ্চ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করেছি। ডুবে যাওয়া লঞ্চটি থেকে যেসব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্বজন এবং দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য সংগ্রহ করা হয়েছে।' মো. দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর বলেন, তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত শনিবার দুপুরে এমভি শাথিল-১ লঞ্চটি যখন গলাচিপার ইচাদি ঘাটে ছিল, তখনই কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় যাত্রীরা ওই ঘাট থেকে লঞ্চটি না ছাড়ার জন্য লঞ্চের চালক সুধীর চন্দ্র দাসকে অনুরোধ করে। কিন্তু চালক তা উপেক্ষা করে ইচাদি ঘাট থেকে লঞ্চটি ছেড়ে দেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চটিতে তিন লাখ টাকারও বেশি দামের মাছ ছিল। এসব মাছ বিকেল পাঁচটার মধ্যে পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী লঞ্চে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তাড়াহুড়ো করছিলেন চালক। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য চালক সুধীর চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। লঞ্চডুবির পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে। ৩ মে দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপায় যাত্রীবাহী এমভি শাথিল-১ লঞ্চটি ডুবে যায়। এতে ১৬ জন যাত্রী নিহত হন।
Home »
» চালকের গোঁয়ার্তুমিতেই লঞ্চডুবি- তদন্ত কমিটির তথ্য
চালকের গোঁয়ার্তুমিতেই লঞ্চডুবি- তদন্ত কমিটির তথ্য
Written By setara on Tuesday, May 6, 2014 | 8:45 AM
Related Articles
If you enjoyed this article just Click here Read Dhumketo ধূমকেতু, or subscribe to receive more great content just like it.
0 comments:
Post a Comment