Home » , » শেরপুরের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪ হাজার তাজা গুলি উদ্ধার

শেরপুরের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৪ হাজার তাজা গুলি উদ্ধার

Written By Unknown on Tuesday, January 25, 2011 | 3:17 AM

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাকাকুড়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে পুলিশ গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ শনিবার রাইফেলের ১৩ হাজার ৬৮০টি তাজা গুলি উদ্ধার করেছে।

বাকাকুড়া গ্রামের অছির উদ্দিনের (৮৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে এসব গুলি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাতটার দিকে ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া গ্রামের অছির উদ্দিনের বাড়িতে এ অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের চৌকির নিচে আটটি বস্তায় ভরে রাখা হয় এসব গুলি। বস্তা খুলে পুলিশ ৫৭টি প্যাকেটের ভেতরে রাখা ১৩ হাজার ৬৮০টি গুলি উদ্ধার করে। এ সময় বাড়ির মালিক বৃদ্ধ অছির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গুলির কোনো উৎস জানতে পারেনি পুলিশ।
শেরপুরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম থানায় মামলা করেছেন। একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে গুলির উৎস ও এর মালিকের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার জানান, দু-তিন দিন আগে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের কাউকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা আটক করেছে কি না, সে বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় সীমান্তে ভারতের আসাম রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা নানা ধরনের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। গত ১৭ জুলাই উলফার নেতা হিসেবে পরিচিত মাসুদ রঞ্জন চৌধুরী ওরফে রঞ্জু চৌধুরী এবং তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাককে র্যাব সদস্যরা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন। বর্তমানে এ দুজন কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন।
অপরদিকে ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিডিআর বাকাকুড়া গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে প্লাস্টিকের ড্রামভর্তি অবস্থায় ২৯ হাজার ১০০টি গুলি উদ্ধার করে। সে সময় বিডিআর রাসেল সাংমা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। তিনি নিজেকে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেন। ২০০৯ সালের ২৬ আগস্ট শেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভারতীয় নাগরিক রাসেল সাংমাকে অস্ত্র আইনে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে তিনি শেরপুর জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। রাসেল সাংমাকে গ্রেপ্তারের পর বিডিআর সদস্যরা ২০০৭ সালের ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর গারো পাহাড় এলাকা ঘেরাও করে আরও ১০ হাজার গুলি উদ্ধার করে। এসব গুলি উলফার বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়।

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. XNews2X - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু