Home » , , » মুখর নেতাদের মুখে তালা by পাভেল হায়দার চৌধুরী

মুখর নেতাদের মুখে তালা by পাভেল হায়দার চৌধুরী

Written By Unknown on Sunday, September 18, 2011 | 5:14 AM

রকারের সমালোচক আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নেতাদের দলীয় ফোরামের বাইরে কথা বলার ব্যাপারে সংযত হওয়ার একটি অলিখিত নির্দেশ জারি করা হয়েছে ইতিমধ্যে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ বা সেমিনারে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ বা মন্ত্রীদের কাজের সমালোচনা করে যেসব নেতা সরব ছিলেন, তাঁদের সংযত হয়ে কথা বলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে সমালোচনা এমন পর্যায়ে পেঁৗছেছে যে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ইতিমধ্যে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছেন।
ফলে দলের অভ্যন্তরে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে বিশেষভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারও এই সমালোচনা ও অভিযোগের মুখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। এই অবস্থায় দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে, নেতারা দলীয় ফোরামের বাইরে কথা বললে অবশ্যই তাঁদের সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। জানা গেছে, গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, এটা দলের ও সরকারের জন্য ক্ষতিকর। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন এবং তাঁর সঙ্গে একমত প্রকাশ করে বলেন, এটা সরকার ও দলের জন্য খুবই বিব্রতকর। তবে সমালোচনাকারী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যাঁরা মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কথা বলে আসছেন, তাঁরা এর সঙ্গে একমত না হলেও আপাতত কিছুটা চুপ হয়ে গেছেন। তবে কেউ কেউ আবার মুক্ত ও স্বাধীনভাবে কথা বলে যাবেন বলেও মনস্থির করেছেন। জানা গেছে, কিছু নেতার স্বাধীন ও মুক্তভাবে কথা বলার কারণে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে, পাশাপাশি বিরোধী দলের হাতে ইস্যু তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের অনেকেই মনে করছেন। আবার যাঁরা সরকারের ভুলত্রুটি নিয়ে কথা বলছেন, তাঁরা এটাকে সমালোচনা হিসেবে ধরে না নিয়ে বরং দলের এবং সরকারের মধ্যে যে গণতন্ত্র চলছে, এটাকে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। বেশ কিছুদিন ধরে সরকারের নানা ব্যর্থতা চিহ্নিত করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবদুল জলিল, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম সংসদে ও সংসদের বাইরে কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শেয়ারবাজারের অস্থিরতা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতির এক উপদেষ্টাকে দরবেশ উপাধি দিয়ে তাঁরও কঠোর সমালোচনা করেন। তোফায়েল আহমেদ যোগাযোগব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ পরিস্থিতির সমালোচনা করে সংসদে বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় কে চালায়? মোহাম্মদ নাসিম সরকারের স্বরাষ্ট্র, অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে বেশি কথা না বলে কাজে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানের কম খাওয়ার বক্তব্য নিয়ে বেশ কড়া বক্তব্য দেন সুরঞ্জিত, নাসিম ও ওবায়দুল কাদের। এদিকে শেয়ারবাজার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এক বক্তৃতার বিরুদ্ধাচরণ করে সরকারদলীয় এমপি আ হ ম মোস্তফা কামাল ওরফে লোটাস কামাল বলেছিলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বক্তৃতা। লোটাস কামালের এ বক্তব্য সেই সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ ঝড় তোলে।
বিশেষ করে শেয়ারবাজার, যোগাযোগব্যবস্থার বেহাল দশা, দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয়তা, মন্ত্রী-এমপিদের দূরত্ব ইত্যাদি বিষয়ে সমালোচনা উঠে আসে বিভিন্ন সভ-সমাবেশ ও সেমিনারে। এ নিয়ে গত শুক্রবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং বাইরে কথা না বলতে নেতাদের আহ্বান জানানো হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, দলের অনেক নেতা সরকারের সমালোচনা করে বাইরে কথা বলছেন, তাতে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। বাইরে কথা না বলে দলে বিভিন্ন ফোরাম রয়েছে, সেখানে কথা বললে দল ও সরকারের জন্য মঙ্গল হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে প্রস্তাব এনে সকল পর্যায়ের নেতাদের দলীয় ফোরামের বাইরে বক্তৃতা-বিবৃতিতে যাতে সমালোচনা না করা হয়, তার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন। এটা ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে 'শৃঙ্খলা' থাকে। দলের সমালোচনা দলের ফোরামেই করা উচিত। তিনি বলেন, কখনো কখনো এমন সব সমালোচনা হয়, তাতে বিরোধী দলের হাতে অস্ত্র চলে যায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় ফোরামে কথা বলার ধারা বজায় রাখতে পারলে ভালো। কিন্তু যখন ফোরামের ভেতরের আলোচনা বাইরে চলে আসে, তখন বিষয়টি অতিরঞ্জিত হয়ে যায়। এটা বন্ধ করা উচিত। গত ২৫ আগস্ট সরকারের ব্যর্থতার আওয়াজ তুলে শত্রুর হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না_জাতীয় সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজ দলের সমালোচনাকারীদের জবাবে এভাবেই মন্তব্য করেন তিনি।
সেই সব সমালোচনা : ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে 'ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফর নিয়ে আমাদের দায়িত্বশীলদের অতিকথনে অতি আশা জাগলেও প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তি আশানুরূপ হয়নি।' তবে ওবায়দুল কাদের সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, হতাশার কিছু নেই। অচিরেই তিস্তা চুক্তি হবে। ২৩ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতি সংসদে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। সংসদে বাতিল নোটিশের ওপর দুই মিনিটের আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টাকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। কিন্তু আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। তাঁকে পাওয়াও যায় না। অন্যদিকে প্রতিমন্ত্রী সংসদে উপস্থিত থাকেন না।' বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চালায় কে_এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি। কৃষি ব্যাংক মিলনায়তনে গত ২০ আগস্ট যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের প্রতি ইঙ্গিত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, 'আমাদের মন্ত্রীদের চেহারা উজ্জ্বল, রাস্তাঘাটের কেন বেহাল দশা?' তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়ার পরও যোগাযোগব্যবস্থা কেন ভেঙে পড়বে? রাস্তাঘাটের অবস্থা কেন এমন হবে? যোগাযোগমন্ত্রী কাজের চেয়ে কথা বেশি বলেন। কিছু হলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক কেন? সবই যদি প্রধানমন্ত্রীকে করতে হয়, তাহলে মন্ত্রীদের প্রয়োজন কী? নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সুচিন্তিতভাবে কথা বলুন। ঈদের আগে যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারে, তার ব্যবস্থা করার দিকে নজর দিন। এ সময় তিনি সড়ক ও সেতু বিভাগের মধ্যকার বিভেদ দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য এ বিভেদ দূর করতে হবে। ১৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কিছু ধান্দাবাজ মুজিবকোট পরে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্ম চালায়। তাদের অপকর্ম বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে কলুষিত করছে। এসব মেকি আওয়ামী লীগার ও স্বার্থান্বেষী মহল সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কসহ প্রতিটি মহাসড়ক চাঁদের মতো খানা-খন্দে ভরা। সারা দেশের রাস্তাগুলো ভেঙে গেছে। উড়াল সেতু-পাতাল রেলের স্বপ্ন বাদ দিয়ে আগে অধিক প্রয়োজনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে বেশি নজর দিয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের প্রয়োজন বুঝে মনের কথা ভেবে কাজ করতে হবে। ১৪ আগস্ট মিরপুর বাঙলা কলেজে ঈদকে সামনে রেখে দেশজুড়ে চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কাঁচাবাজার, ফুটপাত, লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে সর্বত্রই ফ্রি-স্টাইলে চাঁদাবাজি চলছে। এ সত্যকে চাপা দিয়ে লাভ হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে এগুলো কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। নিত্যদিনের বেড়ে চলা দুর্ভোগ ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পেছনে মন্ত্রী, ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের ভূমিকাকে দায়ী করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের দক্ষ টিম লিডার আছেন। কিন্তু শক্তিশালী টিম নেই। জনদুর্ভোগ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারের দায়িত্বশীলদের সমন্বয় নেই।' পুঁজিবাজারে বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের ফটকাবাজ বলা বা রমজানে কম খেতে মন্ত্রীদের পরামর্শের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফ্রি-স্টাইলে কথা না বলে কাজের কাজ করুন। কম কথা বলে বেশি কাজ করুন। ভুক্তভোগী জনগণ এসবের সরব প্রতিবাদ না জানালেও আগামী নির্বাচনে নীরব ভোটে ক্ষমতাসীন দল এর জবাব পাবে। তিনি সরকারের ভাবমূর্তি কতটা খারাপ হয়ে উঠছে, তা বিবেচনায় নিয়ে দায়িত্বশীলদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।
৫ আগস্ট বাণিজ্যমন্ত্রী মো. ফারুক খানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অপারগতা প্রকাশ করে চলে যান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খানকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বক্তৃতা-বিবৃতি নয়, কাজের কাজটি করুন। পাবলিক সেক্টরে কার্যকর ভূমিকা রাখুন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় মোহাম্মদ নাসিম সরকারের মন্ত্রীদের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা কাজ করার পর বলবেন ভুল হয়েছে। দুই বছর পর 'ভুল হয়েছে' জনগণ এ কথা শুনতে চায় না। মন্ত্রীদের ভুলের কারণে দল ও জনগণ ভোগান্তির শিকার হবে, এটাও কাম্য নয়। তাই ভুল করার আগে চিন্তা করা উচিত। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আরো কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অন্য একটি অনুষ্ঠানে এ নেতা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুধু আদর-সোহাগ করলেই হবে না, শাসনও করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সড়কদ্বীপে এক অনুষ্ঠানে সুরঞ্জিত সেন বলেন, সংসদ নয়। দেশে এখন আইন প্রণয়ন করে আমলারা। অন্য একটি অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মিলিটারি মেজাজে কথা বললে জিনিসপত্রের দাম কমবে না। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জনতার প্রত্যাশা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের টাকা যারা হাতিয়ে নিয়েছে, তারা ঠাণ্ডা মাথার খুনি। শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, 'কয়েকজন স্বার্থান্বেষী দলের বদনাম করবে আর আমরা বসে আঙুল চুষব, তা হতে পারে না। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত দিতে হবে। লুণ্ঠনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ইব্রাহিম খালেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। গুটিকয়েক নেতার জন্য আওয়ামী লীগ দোষী হতে পারে না। দরবেশ, ইমাম, মোয়াজ্জেন_এরা কারা, তাদের সামনে আনতে হবে।' এসব বিষয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেখানে-সেখানে সরকারের সমালোচনা না করার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। আমাদের যেহেতু উপদেষ্টা পরিষদ, সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী, সংসদীয় দল, কার্যনির্বাহী সংসদ_এ ধরনের বিভিন্ন ফোরাম রয়েছে, তাই দলের ফোরামের বাইরে কথা বলা আমাদের মোটেই সমীচীন হবে না।'

0 comments:

Post a Comment

 
Support : Dhumketo ধূমকেতু | NewsCtg.Com | KUTUBDIA @ কুতুবদিয়া | eBlog
Copyright © 2013. XNews2X - All Rights Reserved
Template Created by Nejam Kutubi Published by Darianagar Publications
Proudly powered by Dhumketo ধূমকেতু